Saturday 26 November 2016



স্কিন ক্যান্সার হচ্ছে স্কিন সেলের অনিয়ন্ত্রিত এবং অস্বাভাবিক বৃদ্ধি যা স্কিন সেলের ডিএনএ ড্যামেজের কারণে হয়ে থাকে । সাধারণত সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মি এবং ট্যানিং বেডের কারণে ডিএনএ ড্যামেজ হয় । যার ফলে মিউটেশন বা দেখা দেয় এবং স্কিন সেল দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া শুরু করে এবং মলিগ্নান্ট টিউমার গঠন করে । প্রধানত যে তিনটি বিশেষ ধরণের স্কিন ক্যান্সার বেশি হয়ে থাকে তারা হলো বাসেল সেল কারসিনোমা, স্কোয়েমাস সেল কারসিনোমা এবং মেলানোমা । এদের প্রত্যেকের নামকরণ করা হয়েছে যে বিশেষ সেল থেকে উ
পত্তি নেয় তার উপর ভিত্তি করে ।

সাধারণ কারণ সমূহ
·         ফর্সা ত্বক
·         সূর্যকরোজ্জ্বল অথবা উচ্চতাসম্পন্ন জলবায়ু
·         বহু অস্বাভাবিক তিল
·         প্রাক-ক্যান্সার লেসিওনের উপস্থিতি
·         বিকিরণে আক্রান্ত হওয়া অথবা বিশেষ কিছু পদার্থ- যেমন আর্সেনিক
·         বংশগতি
·         দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

বাসেল সেল কারসিনোমা
স্কিন ক্যান্সারের ভিতরে এটি সবচেয়ে বেশি হতে দেখা যায় । সৌভাগ্যবশত এটি খুব বিপদজনক নয় । কিন্তু অবশ্যই চিকিসা নিতে হয় । না হয় এটি বৃদ্ধি পেতে থাকে, পার্শ্ববর্তী স্কিন টিস্যুকে আক্রান্ত করে এবং ধ্বংস করে ফেলে । সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মিই এর মূল কারণ । ঘন ঘন সান বার্ন এবং শৈশবে তীব্র সূর্যের আলোয় বেশি থাকলে প্রাপ্ত বয়সে বাসেল সেল স্কিন ক্যান্সার হতে পারে ।

স্কোয়েমাস সেল স্কিন ক্যান্সার
এর চিকিসা যত দ্রুত সম্ভব শুরু করতে হয় কারণ ক্যান্সার লেসিওন পার্শ্ববর্তী স্কিন টিস্যু ক্ষতি করে আকৃতিতে বড় হতে থাকে এবং শরীরের অন্যত্রও ছড়িয়ে পরতে পারে । ঘন ঘন সূর্যের আলোয় উন্মুক্ত থাকলে এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা জাগে । যদিও যাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যাবস্থা অবদমিত অবস্থায় আছে তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন । 

মালিগ্নান্ট মেলানোমা
মালিগ্নান্ট মেলানোমা কম সাধারণ হলেও খুব বিপদজনক স্কিন ক্যান্সার । প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পরলে মেলানোমার নিরাময় হার অন্য সব ক্যান্সারের চেয়ে বেশি । শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ । কিন্তু, যদি চিকিসা না শুরু করা হয় তবে মেলানোমা স্কিনে ছড়িয়ে পরবে । যখন এটা রক্তে অথবা লসিকানালী সিস্টেমে ছড়িয়ে পরে তখন এর পক্ষে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পরা সহজ হয়ে যায় এবং প্রায়শই মৃত্যুর কারণ হয় ।
সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মিতে উন্মুক্ত থাকা এবং সান বেড মেলানোমা হওয়ার প্রধান দুটি কারণ । আর উভয়কেই খুব সহজে প্রতিরোধ করা যায় । বিশেষজ্ঞদের মতে ৯০ ভাগ মেলানোমার কারণ হচ্ছে জীবনকাল জুড়ে  সান বার্ন এবং অতিবেগুনী রশ্মিতে উন্মুক্ত অবস্থায় থাকা ।

আক্টিনিক কেরাটোসেস
প্রকৃতপক্ষে আক্টিনিক কেরাটোসেস কোন  স্কিন ক্যান্সার নয় । তবু এসব লেসিওনের চিকিসা করা প্রয়োজন । নতুবা পরবর্তীতে এরা স্কোয়ামাস সেল স্কিন ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে ।
বহু বছর ধরে সূর্যে আলতে উন্মুক্ত থাকলে চামড়ার স্বাভাবিক কোষ বিভাজন ক্ষতিগ্রস্ত হয় । এর ফলে চামড়ার উপরের স্তর আক্রান্ত হয় । যাকে এপিডার্মিস বলে । সূর্য চামড়ার ডিএনএকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে এবং এরকম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করে ।

প্রতিরোধ
সূর্যের আলোতে উন্মুক্ত অবস্থায় থাকা পরিহার করতে হবে । এছাড়া অন্যান্য প্রতিরোধ ব্যাবস্থা হচ্ছেঃ
·         সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর (এসপিএফ) ৩০ বা তার অধিক সান স্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে ।
·         বিশেষ করে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যবর্তী সময়টাতে যখন সূর্য প্রখর থাকে তখন তখন ছায়ায় থাকুন ।
·         রক্ষাকারী কাপড় পড়ুন যেমন, ফুল হাতা সার্ট, প্যান্ট এবং সানগ্লাসেস ।
·         ট্যানিগ বেড এড়িয়ে চলুন ।

দিন দিন পৃথিবীতে স্কিন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে । তবে সৌভাগ্যক্রমে আমাদের কাছে এ রোগের চিকিসা রয়েছে এবং তা দিন দিন উন্নতি লাভ করছে । আর এমন ধরণের ক্যান্সার খুব সহজেই প্রতিরোধমূলক ব্যাবস্থা নেয়ার মাধ্যমে এড়ানো সম্ভব । ডার্মাটোলজিস্টের সাথে কথা বলে স্কিন ক্যান্সারের চিকিসা নির্ধারণ করা উচিত । এর চিকিসায় মূলত সার্জারি এবং রেডিয়েশন বেছে নেয়া হয়।

Skin Cancer causes and prevention


Skin cancer is a wild and abnormal skin cell growth which may happen due to unrepaired DNA damage to the skin cells. Most often this DNA damage happens by the exposure of ultraviolet radiation from sun shine or tanning beds. This triggers mutation or genetic defects and lead the skin cells to multiply rapidly and form malignant tumors. And the three most frequently detected skin cancers are basal cell carcinoma, squamous cell carcinoma, and melanoma, each of which named after the type of skin cell from which it arises.

Common Causes
·         Fair skin.
·         Sunny or high-altitude climates.
·         Many or abnormal moles.
·         Precancerous skin lesions.
·         Exposure to radiation or certain substances, such as arsenic. 
·         A weakened immune system, such as people with HIV or AIDS, or people taking immunosuppressant drugs following an organ transplant.

Saturday 19 November 2016

ত্বকের জত্নে পানির গুরুত্ব


বছরের এ সময় বাতাস শুষ্ক হয়ে যায় । সব কিছুই শুষ্ক হতে শুরু করে । ত্বক শুষ্ক হতে থাকে এবং খসখসে হয়ে যায় । কিন্তু পানি এর সমাধানে এবং ত্বক সংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যা সমাধানে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে । পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান ও ব্যবহার সুস্বাস্থ্যের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ । কারণ পানি হজম, রক্ত সঞ্চালন, শোষণ, এমনকি রেচনে সাহায্য করে । কিন্তু অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে যে বেশি পরিমাণে পানি পান ত্বকের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে পারে কি না? এমন অনেক দাবি রয়েছে যে পানি পানের ফলে ত্বক উজ্জ্বল, স্বাস্থ্যবান, তারুণ্যদীপ্ত হয় । অপরদিকে এমন দাবিও আছে যে ত্বকের উপর এর কোন প্রভাবই নেই ।

প্রকৃত অর্থে ত্বক হচ্ছে একটি অঙ্গ এবং শরীরের অন্যসব অংশের মত এটিও কোষ দিয়ে তৈরি । আর শরীরের অন্য সব কোষের মতই ত্বক কোষ পানি দিয়েই তৈরি। ফলে ত্বক বা অনন্য কোন অঙ্গ পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি ছাড়া  ঠিক ভাবে কাজ করতে পারে না ।
যদি আপনার ত্বকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানির সরবরাহ না থাকে, তবে তা শুকিয়ে যাবে । এর ফলে আপনার ত্বক ক্ষয়িষ্ণু হয়ে যাবে এবং টানটান ভাব দেখা দেবে । শুষ্ক ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কম হওয়ায় ভঙ্গুর হয় এবং তাতে করে বলি রেখা পড়ার প্রবণতা বাড়ে । তাছাড়া ত্বকে তেলের তুলনায় পানি কমে গিয়ে ত্বকের উপর ভারী তেলের প্রলেপ পরলে ব্রণের ব্রেকআউট হয় । এখেত্রে পানির ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ।

Wednesday 16 November 2016

The importance of water for your skin


At this time of year the air is dry. Everything seems dry. Your face flakes off in whole pieces, your arms are ashy. But water can play a vital role to fight against this situation and to solve other skin problems as well. Consumption of a sufficient amount of water daily is important for overall good health because water helps in digestion, circulation, absorption and even excretion. But many people ask about whether drinking large amounts of water can help to ensure proper skin health? Claims have been made that drinking water gives you a radiant, healthy, younger- looking complexion, while others say it has no effect on skin's appearance whatsoever.

The fact is that skin is an organ, and just like any other part of the body your skin is made up of cells. And skin cells, like any other cell in the body, are made up of water. So the organs will certainly not function properly without water.

If your skin is not getting the sufficient amount of water, the lack of hydration will present itself by turning your skin dry, tight and flaky. Dry skin has less resilience and is more prone to wrinkling. Water may also fend off breakouts by decreasing the concentration of oil on your skin. It is critical to have a stable balance of water to oil on the surface of skin. If the skin is too heavily covered in oil relative to water, this can lead to clogged pores with acne breakouts and blemishes.

Tuesday 8 November 2016

বাংলাদেশীদের ত্বকের ধরণ



দক্ষিণ এশিয়ার বাকি সবার মতই বাংলাদেশীদের ত্বকর ধরণ হয়ে থাকে । তবে বাংলাদেশীদের ব্যাপারে ডার্মাটোলজিস্টদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ইতিহাসের কথা মাথা রাখতে হয় । বাংলাদেশের রয়েছে হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ইতিহাস, মূল আদিবাসী ছাড়াও বিভিন্ন জাতির মানুষ এসেছে এ দেশে । এক্ষেত্রে পার্সিয়া, আরব দেশ সমূহ, গ্রীস এবং পরবর্তীতে ইউরপিয়ান কলোনির প্রভাব এখানে দেখা যায় ।
এটা কোন ব্যাপার না যে আমরা এসিয়ান, আফ্রিকান, নেটিভ আমেরিকান বা ল্যাটিন বংশোদ্ভূত, আমাদের মধ্যে অন্তত দুটি ব্যাপার খুবি সাধারণ । প্রথমত, আমাদের চমৎকার বাদামী ত্বক । দ্বিতীয়ত, অত্যাধুনিক জেনেটিক পরীক্ষার দ্বারা আবিষ্কৃত, যে আমরা সবাই আফ্রিকার এক নারী ও পুরুষ থেকে সম্ভূত । এরাই সম্ভবত জ্ঞাত মানুষ যারা খুব সম্ভবত বাদামী ত্বকের অধিকারী ছিলেন, যারা আফ্রিকান মহাদেশ (সুদান, ইথিওপিয়া, মালি) জুড়ে ভ্রমণ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং জাপান মধ্যে অভিবাসিত হন, তারপর অস্ট্রেলিয়া, নিউগিনি, এবং মধ্য এশিয়া পরে ইউরোপ এবং আমেরিকা মধ্যে ছড়িয়ে পড়েন ।

বাংলাদেশি জনসংখ্যার উৎপত্তি এবং ত্বকের রঙ পরিপ্রেক্ষিতে খুব বৈচিত্র্যময় এবং ত্বকর রঙ গাঢ় বাদামী  থেকে হালকা বাদামী হয়ে থাকে । তবে কেন সবার বাদামী ত্বক হয় না? নৃবিজ্ঞানীদের মতে এ ধনের বৈচিত্র দেখা দিয়েছে প্রাকৃতিক নির্বাচনের ফলে, যা কিনা দেখা দিয়েছে প্রাথমিক মানুষের নির্দিষ্ট পরিবেশে অভিবাসনের পর পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেয়ার প্রবণতা থেকে । উদাহারণসরূপ, গাঢ়  পিগমেন্টের বাদামী ত্বকের রঙ দেখা যায় মেলানিন নামক একটি পিগমেন্টের উপস্থিতির কারণে । একটি সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে । উচ্চ মেলানিন দেয় উন্নত ফটোপ্রোটেকশন এবং ফটোড্যামজের হাত থেকেও বাঁচায় । আর মেলানিন সমৃদ্ধ ত্বকের অধিকারীদের ত্বকে বয়সের লক্ষণ ধীরে প্রকাশ প্রায় ।

Bangladeshi skin type



People from Bangladesh are quite same as any other countries from South Asia. But there are important cultural factors about Bangladeshis for dermatologists to recognize.  Bangladesh has thousands of years of culture, with so many different ethnicity who have come to that country, ranging from the original indigenous people. Then there was invasion of people from Persia, Arabic countries, Greece and European influences in the colonial era.

It doesn’t matter whether we are of Asian, African, Native American and Latin descent; each of us has at least two things in common. The first is our beautiful brown skin. The second, discovered by sophisticated genetic testing, is that we all originated from one man and one woman in Africa. These first known people, who presumably had brown skin, migrated across the African continent (Sudan, Ethiopia, Mali), traveled into Southeast Asia and Japan, then on to Australia, New Guinea, and central Asia, and later into Europe and the Americas.

The Bangladeshi population is very diverse in terms of origin and skin hue and has light brown to dark brown skin. Why doesn’t everyone have brown skin? Anthropologists believe racial variations developed because of natural selection, enabling early humans to adapt to the particular environment to which they migrated. For example, darkly-pigmented brown skin color is due primarily to the presence of a pigment called melanin. This is most likely help to protect from the burning ultraviolet (UV) light rays.  High melanin content confers better photoprotection, photodamage. And melanin-rich skin helps a bit to protect from early signs of aging too.  People living north of the equator developed pale or white skin to ensure absorption of UV rays that promote vitamin D formation in the skin. Many individuals with brown skin have ancestors that lived near the equator.

Tuesday 1 November 2016

প্রাপ্ত বয়স্ক ব্রণঃ কারণ ও সমাধান



প্রাপ্ত বয়স্ক ব্রণঃ কারণ ও সমাধান
ব্রণ হচ্ছে মুখের, বুকের এবং পিঠের হেয়ার ফলিকলের এমন একটি স্কিন কন্ডিশন যা সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালে দেখা যায় । যদিও কোন কোন কিশোর/কিশোরী এ অবস্থা উৎরে যায় তবু এটি মোটেও অস্বাভাবিক নয় যে কেউ কেউ তার ২০-৩০ বছর বয়েসে এমনকি ৫০ বছর বয়েসেও ব্রণের সমস্যায় ভুগতে পারেন ।
চামড়ায় ব্রণের দেখা পাওয়া যায়ঃ
  • অকলুডেড পোরস, ব্ল্যাকহেড অথবা হোয়াইটহেড নামে পরিচিত
  • রেড বাম্পস, পিম্পল নামে পরিচিত
  • ফুসকুড়ি (পুঁজ থাকে)
  • সিস্ট (গভীর ব্রণ, ফোঁড়া)

ব্রণের কারণ
প্রকৃতপক্ষে ব্রণের একক কোন কারণ নেই । বেশিরভাগ সময় যখন হেয়ার ফলিকলের সাথে যুক্ত সিবেসাস (অয়েল) গ্লান্ড স্টিমুলেট হয় তখন ব্রণের উৎপত্তি হয়ে থাকে । এটি বয়ঃসন্ধিকালে অথবা হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে হয়ে থাকে । সিবিয়াম (অয়েল) একটি প্রাকৃতিক পদার্থ যা ত্বককে পিচ্ছিল রাখে এবং রক্ষা করে । তেল নিঃসরণের বৃদ্ধির ফলে স্কিন সেল এমন ভাবে পরিণত হয় যাতে ফলিকুলার পোর বন্ধ হয়ে যায় । এর ফলে হোয়াইটহেড দেখা দিতে পারে যা একটু পুরু চামড়ার আস্তরণ দিয়ে ঢাকা থাকে, আর গাড় অংশ হিসেবে ব্ল্যাকহেড দেখা দিতে পারে । এভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া হেয়ার ফলিকল ধীরে ধীরে বড় হয় এবং ফুলে উঠে । ফলিকল ফুলে যাওয়ার কারণে দেয়াল ফেটে যায়, যার ফলে বিরক্তিকর পদার্থ এবং সাধারণ স্কিন ব্যাকটেরিয়া চামড়ার গভীরে প্রবেশ করতে পারে । শেষ পর্যন্ত প্রদাহ তৈরি হয় । চামড়ার পৃষ্ঠের কাছে প্রদাহ হলে ফুসকুড়ি তৈরি হয়, গভীর প্রদাহের ফলে পিম্পল, আর প্রদাহ যদি আরও গভীর হয় তবে সিস্ট তৈরি হয় ।
হরমোনাল পরিবর্তনের আরেকটি কারণ হচ্ছে মানসিক চাপ । মানসিক চাপের ফলে অ্যাড্রেনাল গ্ল্যান্ড করটিসল নিঃসরণ করে যাতে শরীর চাপের সাথে মোকাবিলা করতে পারে । কিন্তু এর সাথে সাথে সামান্য পরিমাণে টেস্টোসটেরন নিঃসরিত হয়, যা তেল গ্রন্থিগুলো থেকে অধিক পরিমাণে নিঃসরণ ঘটায় । এটি হচ্ছে ব্রেকআউটের মূল কারণ । তাছাড়া বায়ু দূষণ প্রভাবক হিসেবে কাজ করে । বিশেষ কিছু খাবার প্রভাব ফেলতেও পারে । কিন্তু নির্ভরযোগ্য প্রমাণ এখন পাওয়া যায় নি । ভাজাপোড়া, জাঙ্ক ফুড এবং তৈলাক্ত খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয় তবে এরা ব্রণ তৈরি করে না বা ব্রণের অবস্থা আরও খারাপ করায় না । যদিও সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে উচ্চ মাত্রার কার্বহাইড্রেট, দুধ এবং বিশুদ্ধ চকলেট ব্রণের অবস্থার অবনতি ঘটায় । তবে এই গবেষণাগুলো এখনও পুরোপুরি প্রমাণিত নয়