শুষ্ক ত্বকের
গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার মূলত তা দেখতে কেমন তা নয়, বরং তা কেমন অনুভব হচ্ছে সেটাই
মুখ্য । শুষ্ক ত্বকের কারণে মুখের ত্বক আদ্র করার
আগ পর্যন্ত তা টানটান অনুভব হতে থাকে । খুব শুষ্ক ত্বক হলে মাঝে মাঝে ময়েসচারাইজার
ব্যবহারের সময় সূচ বা পিনের আঘাতের মত লাগতে পারে । বিশেষ করে শীতকালে মুখ ধোয়ার
পর ত্বক আরও বেশি টানটান ও ফ্লেকি হয়ে যায় । আর তার সাথে বেমানান ও নিস্তেজ রূপ
ধারণ করে । ময়েসচারাইজার ব্যবহার বন্ধ করে দিলে কিছু কিছু সময় সূক্ষ্ম লাইন দেখা
যায়, লালচেভাব এবং চুলকানি দেখা দিতে পারে । তবে শুষ্ক ত্বকের ধরণের কারণে ব্রণ,
ব্ল্যাক/হোয়াইট হেড এবং ওপেন পোর আপনার জন্য খুব একটা সমস্যা কারণ হয় না ।
ত্বক এবং আবহাওয়া
§ আদ্র আবহাওয়ায়
ত্বকের শুষ্কতা যদিও কমে যায় । তবুও ময়েসচারাইজার ব্যবহার ছাড়া আপনি এক বা দুই
দিনের বেশি থাকতে পারবেন না ।
§
শুষ্ক আবহাওয়ায় আপনার ত্বক খুব বেশি শুষ্ক হয়ে যাবে । তার ফলে ত্বক অনেক
বেশি টানটান এবং শুকিয়ে হয়ে যাবে যে ময়েসচারাইজার ছাড়া আপনি একদিনও থাকতে পারবেন
না । এমনকি দিনে বেশ কয়েকবার আপনাকে ময়েসচারাইজার ব্যবহার করতে হতে পারে ।
শুষ্ক ত্বক
হয়তোবা দেখতে খারাপ লাগে না , কিন্তু ত্বকের টানটানভাবের সঠিক পরিচর্যা নেওয়া
জরুরী । আর তার জন্য ময়েসচারাইজার হচ্ছে সবচেয়ে ভাল সমাধান । কিন্তু ময়েচারাইজারের
পাশাপাশি এমন একটি ফেস ওয়াস ব্যবহার করা উচিত যা ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েসচারাইজিং
ফ্যাক্টরগুলিকে নষ্ট করে না ।
নিম্নলিখিত
বিষয়গুলো মাথায় রেখে ত্বকের যত্নের জন্য সক্রিয় উপাদান বেছে নিতে পারেনঃ
§ সংবেদনশীলতাঃ
সংবেদনশীল ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে আঘাত ও
বিচারের পদ্ধতি অবলম্বনের
মাধ্যমে সেসব সক্রিয় উপাদানসমূহদের এড়িয়ে চলা উচিত যারা ব্রেকাউট শুরু করতে পারে ।
আর একি প্রক্রিয়ায় যেসব উপাদান উপশম করে তাদের বেছে নিতে হবে ।
§ পিগমেন্টেশনঃ যদি পিগমেন্টেশনের সমস্যাও থাকে তবে রাতে
ত্বকের রঙ হালকাকারী ক্রিম এবং দিনে সানস্ক্রিন
ব্যবহার করতে হবে ।
§ বার্ধক্যঃ আপনার বয়স ত্রিশের অধিক হলে সাধারণ সানস্ক্রিন
হিসেবে এবং রাতে ময়েসচারাইজার হিসেবে অ্যান্টিএজিং সলিউসন ব্যবহার করা উচিত ।
ফেস ওয়াস
শুষ্ক ত্বকে তার প্রাকৃতিক ময়েসচারাইজার ফ্যাক্টর
এমনিতেও হ্রাসপ্রাপ্ত অবস্থায় থাকে । তাই ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েসচারাইজার ফ্যাক্টর আরও
কমিয়ে দেয় না এমন ফেস ওয়াস
বেছে নেওয়াটা জরুরী । যেসব ক্রিমি ক্লিনজার যারা খুব বেশি ফেনা তৈরি করে না সেসবই
বেছে নেওয়া উচিত । ফেস ওয়াসের
লেবেলে “সোপ ফ্রি” বা “নন-ফোমিং” লেখা দেখে নিন । এতে বোঝা যায় যে সেই ফেস ওয়াসে
ত্বকের সারফেস টেনশন বিনষ্টকারী উপাদান নেই ।
বেসিক
ভার্সনগুলোই বেছে নিন । সালিসাইলিক এসিড, নিম এবং টি-ট্রি ওয়েল উপাদান সমৃদ্ধ ফেস
ওয়াস পরিহার করুন। কারণ তা আপনার শুষ্ক ত্বকে বিরক্তির উদ্রেক করতে পারে । দিনে
অন্তত দুই বার মুখ পরিষ্কার করুন । মুখ ধোয়ার পর সব সময় মুখ শুকনা তয়ালে দিয়ে আলত
করে মুছে ফেলুন এবং মুখ হালকা ভেজা অবস্থাতেই রেখে দিন । আর মুখে থেকে যাওয়া পানি
ধরে রাখতে সাথে সাথেই ক্রিম মেখে ফেলুন ।
সানস্ক্রিন ব্যবহারে মাধ্যমে দিনের বেলার ময়েসচারাইজার
স্কিন কেয়ার
রুটিনের মধ্যে সানস্ক্রিন ব্যবহার অতি গুরুত্বপূর্ণ । সানস্ক্রিন ব্যবহারের ফলে
সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনীরশ্মি প্রতিহত করা যায় । এ সম্পর্কিত কিছু টিপসঃ
§ এসপিএফ নাম্বার যত বেশি সানস্ক্রিন তত
বেশি তৈলাক্ত । তাই বাইরে যাওয়ার ১৫-৩০ মিনিট
আগে এসপিএফ ৩০+ সানস্ক্রিন মুখে মেখে নিন ।
§
সানস্ক্রিনের
বোতলের গায়ে “জেন্টল/ফর সেনসিটিভ স্কিন/হাইপো অ্যালারজিক” দেখে নিন । কারণ তার ফলেই আপনি নিশ্চিত হতে
পারবেন যে সেই সানস্ক্রিন আপনার ত্বকের জন্য বিরক্তির কারণ হবে কি না ।
রাতের
ময়েসচারাইজার
রাত হচ্ছে সে সময় যখন আপনি সারা দিনে ত্বকে সৃষ্ট
শুষ্কতা কমানোর জন্য পুরু ময়েসচারাইজিং ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন । এ সময়
পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন ক্ষতিকর বস্তু যেমন ধুলাময়লা, বাতাস, সূর্যের আলো এবং
দূষণের প্রভাব ছাড়াই ময়েসচারাইজার ত্বকের গভীরে প্রবেশ করতে পারে ।
রাতের জন্য স্কিন লাইটনিং, অ্যান্টি-এজিং অথবা যেকোনো
ময়েসচারাইজারই ব্যবহার করে থাকেন না কেন, নিশ্চিত হন যে তা একটি ক্রিম বেস ।
ব্যাপারটাকে আরেকটু ব্যাক্ষা করা যাক । ময়েসচারাইজার যত বেশি পুরু তার
ময়েসচারাইজিং ক্ষমতা তত বেশি ।
রাতের ময়েচারাইজারের সক্রিয় উপাদান বেছে নেবার ক্ষেত্রে
ত্বকের ধরণই হচ্ছে মুখ্য । তাই যদি ত্বক সংবেদনশীল হয় তবে যখন ত্বক স্বাভাবিক
অবস্থায় থাকবে তখন স্কিন লাইটনিং দিয়ে শুরু করে অ্যান্টি-এজিং দিয়ে ময়েসচারাইজিং
প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে । যখনি স্কিন ব্রেকাউট শুরু হবে তখনি সেনসিটিভ স্কিন কেয়ার
রেজিমে ফিরে যেতে হবে । তারপর স্কিন লাইটনিং রেজিম এবং প্রয়োজন মত অ্যান্টি-এজিং
রেজিমে ফিরে যেতে হবে ।
বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বকে ডেড সেলের পরিমাণ বাড়তে
থাকে । তার সাথে সাথে ত্বক মলিন ও বেমানান রূপ ধারণ করে । এমন পরিস্থিতি এড়াতে
স্ক্রাবিং গুরুত্বপূর্ণ । এক্ষেত্রে বাড়িতেই স্ক্রাব করতে পারেন । তবে প্রতিদিন
ব্যবহার করার মত মাইল্ড স্ক্রাব ব্যবহার করতে হবে । কারণ শুষ্ক তবে রেগুলার
স্ক্রাবার সমস্যা করতে পারে ।
No comments:
Post a Comment