Wednesday 29 March 2017

মাইক্রো-নিডেলিং

মাইক্রো-নিডেলিং কি?
মাইক্রো-নিডেলিংকে ডার্মারোলিং-ও বলা হয়ে থাকে । এটি ত্বক ভেদ করে কোলাজেন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে । এ প্রক্রিয়া ত্বকের প্রাকৃতিক নিরাময় ক্ষমতা ব্যবহার করে সূক্ষ্ম লাইন, ক্ষত এবং বলি রেখা দূর করে । যারা সূক্ষ্ম লাইন, ব্রণের দাগ দূর করতে চান তাদের জন্য এই প্রক্রিয়া সহজ এবং ন্যূনতমরূপে আক্রমণাত্মক । এই প্রক্রিয়া প্রয়োগের পর আপনার ত্বক অন্যান্য পণ্য ব্যবহারের জন্য বেশি উপযোগী হয়ে ওঠে, আরও বেশি কোলাজেন এপিডার্মিস পর্যন্ত পৌছায়, তাতে ত্বক আরও স্বাস্থ্যবান ও উজ্জ্বল হয় । আর যত বেশি কোলাজেন মানে বেশি ভাল ত্বক । বার্ধক্যের লক্ষণ এবং নতুন সূক্ষ্ম লাইন, বলিরেখা দূর করতে মাইক্রো-নিডেলিং খুব কার্যকরী ভূমিকা রাখে ।
মাইক্রো-নিডেলিং কিসের চিকিৎসা করতে পারে?
মুখ, হাত, তলপেট সহ শরীরের যেকোনো অংশে মাইক্রো-নিডেলিং কাজ করতে পারে । সূক্ষ্ম লাইন এবং বলিরেখা উভয়ের ক্ষেত্রে এই কার্যকরী । তাছাড়া গভীর বলিরেখা এবং ক্ষতের চিকিৎসাতেও কার্যকর । যদিও এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ট্রিটমেন্ট সেসনের প্রয়োজন ।

সাধারণত যেসবের চিকিৎসা করে থাকেঃ
ব্রণ
ব্রণের দাগ
আঘাতের ক্ষত
সূক্ষ্ম লাইন
বলিরেখা
স্ট্রেচ মার্কস
ক্লান্ত, নিস্তেজ ত্বক
মাইক্রো-নিডেল সৃষ্ট মাইক্রো-চ্যানেল ত্বককে আরও ভালভাবে টপিকাল ক্রিম, জেল এবং সিরাম শোষণে সাহায্য করে ।


উপকারিতা কি কি?
রুক্ষ ত্বক মসৃণ করে
সূক্ষ্ম দাগ এবং বলিরেখা অদৃশ্য করে
ক্রো’স ফিট এবং লাফ লাইন কমায়
ব্রণের দাগ, সার্জারির দাগ হালকা করে
বড় পোর সংকুচিত করে
সান ড্যামেজ কমায়
বার্ধক্যগ্রস্ত ত্বক পুনরুজ্জীবিত করে
স্টেচ মার্কস হালকা করে
ব্যবহারকারী মাইক্রো-নিডেলিং থেকে কি কি আশা করতে পারেন?
চিকিৎসার পূর্বে, টপিকাল জেলের একটি পাতলা আবরণ ত্বকে প্রয়োগ করা হয় এবং মাইক্রো-নিডেলকে প্রস্তুত করা হয় যাতে ত্বকের উপরের স্তরে মাইক্র-ইঞ্জুরি সৃষ্টি করতে পারে । এ প্রক্রিয়ায় পার্শ্ববর্তী ত্বক বা টিস্যু খতিগ্রস্ত হয় না ।
মাইক্রো-নিডেল চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত অংশে চালনার সময় ব্যবহারকারীরা মনে করে থাকেন যেন একটি স্যান্ডপেপার চালনা করা হচ্ছে । টপিকাল জেল ব্যবহার এবং যে গতিতে মাইক্রো-নিডেল চালনা করা হয় তার ফলে আরও আরামপ্রদ অভিজ্ঞতা হয়
কোথায় আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন?
যদিও বাসায় ব্যবহারযোগ্য মাইক্র-নিডেলিং কিট রয়েছে তারপরও একজন প্রশিক্ষিত চিকিৎসক দ্বারা এর ব্যবহার নিশ্চিত করা উত্তম । এর ফলে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায় ।
আরোগ্য লাভের সময়কাল কি?

এ প্রক্রিয়া প্রয়োগের পর ২-৪ দিন আপনার ত্বকে হালকা লালচে ভাব দেখা দিতে পারে এবং ত্বক হালকা ফুলে যেতে পারে । কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে সামান্য কালশিটে দাগ অথবা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রক্তের দাগ দেখা দিতে পারে যা কিনা ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যায় । এ প্রক্রিয়া গ্রহণের পর রোগীকে কেমিক্যাল পিলস, মেক আপ, এবং সূর্যের উন্মুক্ততা পরিহার করে চলা উচিত । আর বিস্তারিত পদক্ষেপের জন্য আপনার ডার্মাটলজিস্ট নির্দেশনা প্রদান করবেন ।

No comments:

Post a Comment